জুন ২০২৫ সমাচার

দেখতে দেখতে কিভাবে যেন জুন মাস চলে এসেছে। 

কেয়ামতের আগে নাকি সময় দ্রুত অতিবাহিত হবে – এটা কি তারই লক্ষণ?

এককালে স্কুলে গিয়ে, বাদরামি করে, কোচিং করে, ঢাকার জ্যাম ধাক্কিয়ে বাসায় ফিরে, খাওয়া দাওয়া করে, টিভি দেখে, বন্ধুদের সাথে দুই ঘন্টা টেলিফোনে গ্যাজানোর পরেও হাতে বেশ কিছু সময় বেঁচে থাকত। আর এখন ঘুম থেকে উঠলেই দেখি চারপাশ অন্ধকার! আবার ঘুমুনোর সময় হয়ে গেছে। 

বাড়িয়ে যে বলছি না, তার প্রমাণ আমার বড় ছেলে। মাত্রই কয়দিন আগে তাকে কারসিটে ঝুলাতে ঝুলাতে বাড়ি নিয়ে এলাম। এখনই নাকি তার স্কুলে যাওয়ার বয়েস হয়ে গেছে! আজকাল সে প্রায়ই খাতা কলম নিয়ে বসে হোমওয়ার্ক – হোমওয়ার্ক খেলে। মনের মাধুরি মিশিয়ে অবান্তর আঁকা-আঁকি।  পেন্সিল ধরা দেখে মনে হয় ছবি নয়, কাকে যেন খুন করতে চলেছে। এই কলম হান্দিয়ে দিল টাইপ ভাবসাব।  গিন্নি আবার বুদ্ধি করে এক কাগজে তার নাম লিখে লেমিনেট করে দিয়েছেন। উদ্দেশ্য সেটার ওপর ছেলে হাত ঘুরিয়ে নাম লেখা শিখবে। শেখা হলে পানি দিয়ে তা মুছে ফেললেই সব কিছু আবার নতুনের মত ফকফকা। 

পরিবর্তন যে এতটুকু তাই না। 

সে আজকাল হালকা কথাও বলতে শিখেছে। সেই কথার কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা, আর কিছু ভয়ংকর অভদ্রতায় পরিপূর্ণ। পাঠকের বোঝার জন্য নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলোঃ 

ঘটনা ১ – সত্যকাহনঃ

আমার ছোট ছেলে মাশাল্লাহ দুষ্টুর শিরমনি। চুপ করে আছে দেখলেই বুঝতে হবে – ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। 

তার হাতে পানির বোতল দেয়া হলে সে প্রথমে খানিকটা খাবে, এরপরে আসবাবপত্র বা দরজার চিপায় গিয়ে হয় সেটা জামায় ফেলবে অথবা জিনিষপত্রের ওপর ফেলে চেটে খাওয়ার চেষ্টা করবে। সাইড টেবিল, খেলনা গাড়ি, খেলনা হাড়িপাতিল, সাইকেলের চাকা, মেঝে, ফুটবল – কোন কিছুরই তার হাত থেকে নিস্তার নেই। 

তবে এই সব কাজ করতে গিয়ে ছোট ছেলে প্রায়ই বড় ছেলের কাছে হাতেনাতে ধরা খায়।

 আর বড় ছেলে সুবোধ বালকের মত তা আমাদের কাছে এসে ভাঙ্গা ইংরেজীতে জানিয়ে দেয় – “Oh No! Amir! Amir drop water table.”।

ঘটনা ২ –  মিথ্যেকাহনঃ

কিছুদিন পর স্কুল শুরু হবে বলে বড় ছেলেকে পটি ট্রেইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

ঘরে আজকাল বেশ কিছু সময় সে ডাইপার ছাড়াই ঘুরে বেড়ায়।

প্রায়ই তাকে দেখা যায় এখানে সেখানে পেশাব করে – “Daddy did it” বলে চিৎকার করছে। 

ঘটনা ৩ – অভদ্রকাহনঃ

আমার বড় ছেলে তার নানি’র অন্ধ ভক্ত। ছোটবেলা থেকে নানি-ই তাকে কোলে-পিঠে করে বড় করেছেন। 

নানি যখনই বাসায় আসেন, বিদায়ের বেলায় তার নানান রকম গড়িমসি শুরু হয়। কোন ছুতায় নানিকে আরো কিছুক্ষণ আটকা রাখা যায়  – সেটাই তখন তার মূল লক্ষ্য। কারণে অকারণে কান্নাকাটি, নিজে থেকেই পড়ে গিয়ে ” I hurt my knee” বলে নানির আদর পাবার চেষ্টা তার মাঝে অন্যতম।

সেদিন দেখি রাতে নানিকে ধরে রেখে নানাকে বলছে – “নানি stay, মুনির go”।।

এই যখন পরিস্থিতি, ছেলেরা যে বড় হয়ে যাচ্ছে তার সব থেকে প্রমাণ পেলাম সেদিন চুল কাটাতে গিয়ে। 

আগে চুল কাটার সময় তারা বিকট চিৎকার করে কাঁদতো। 

এবার দেখলাম আমার কোলে বসে বেশ সাহসিকতার সাথেই ব্যাপারটা সামলে নিয়েছে। 

ছোট ছেলে প্রথমে একটু প্যানপ্যান করলেও ২ মিনিটের মাথায় বুঝতে পেরেছে এতে ভয়ের কিছু নেই। এরপর তাকে বেশ আয়েশী ভংগিতেই বসে থাকতে দেখা গেছে।

ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমাদের মা-বাবাদের বোধ হয় এটাই সব থেকে বড় সমস্যা। 

রাতে ঘুমুতে যাবার আগে মনে হয় – “এরা বড় হচ্ছে না কেন? কবে একটু আরাম করে ঘুমুবো?” 

আবার তারা ঘুমিয়ে গেলে তাদের মুখ দেখে মন জুড়ে বিসন্নতা নেমে আসে – “এরা এত দ্রুত বড় হয়ে যাচ্ছে কেন? বড় হয়ে গেলেই তো আমাদের ছেড়ে চলে যাবে!”

বাবা-মা’র কথা উঠাতে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। 

গত মাসে তিনি গিয়েছিলেন বাংলাদেশে । 

ন্যাশনাল আইডি কার্ড করার সাথে সাথে ইচ্ছে ছিল পেনশানের টাকাটা তুলে আনবেন। 

ফিরেছেন জুনের এক তারিখ। 

সাথে নিয়ে এসেছেন বোনদের সাথে থাকার সুখ স্মৃতি, আর সরকারি কর্মচারিদের সাথে ডিল করার বিভিষিকা।

ঘটনা নিম্নরুপঃ

আমার মা যখন বাংলাদেশে পৌছান, ক্ষমতার পালা বদলে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে সিংহাসনে বসেছেন ডাঃ ইউনুস। 

কিন্তু সিংহাসনে ভাল মানুষ বসলেই তো আর দেশের সব মানুষ ভাল হয়ে যান না। 

সরকারি কাজ করাতে গিয়ে আমার মা তাই পড়লেন এক বেগতিক অবস্থায়।

ন্যাশনাল আইডি কার্ড করতে গিয়ে যা বোঝা গেল তা হচ্ছেঃ

১) এই মূহুর্তে বেশীর ভাগ সরকারী কর্মচারীরা সব কাজ বন্ধ করে বসে আছেন কবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে সেই আশায়। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আবার ঘুষ খাওয়ার মহাউৎসব শুরু হবে। ফাইলও তার পুরানো মন্থর গতি খুজে পাবে।

২) বাংলাদেশে সম্মান নিয়ে বাঁচতে হলে এখনও ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা লাগে। আর্মি, পুলিশ, রাজনীতিবিদ, চাঁদাবাজ বা প্রভাবশালী কোন ব্যাক্তির আত্মীয় না হলে “সৎ” হয়ে টিকে থাকা এখনও কঠিন। 

আমার মা অতি সাধারণ ঘরের একজন অসাধারণ মহিলা হওয়াতে তার জন্যও বাংলাদেশে টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেল। 

ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা পেনশানের টাকা তোলার জন্য তিনি যেমন অন্যায়ভাবে কাওকে ঘুষ দিতে পারলেন না, তেমনি কেও তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করলে সেটা সহ্যও করতে পারলেন না। 

পরিণাম – এক মাস দেশে থাকার পর ন্যাশনাল আইডি কার্ড ধরে-কয়ে করতে পারলেও, পেনশানের টাকার মুখ তার আর দেখা হলো না। 

অবশ্য এটা যে শুধু আমার মা’য়ের সাথে ঘটেছে তা না। তিনি নাকি পেনশানের টাকা তুলতে গিয়ে  দেখেন এককালের প্রতাপশালী ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও একই অবস্থা। কালের গর্ভে তাদের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দাপট এখন টিমটিম করে জ্বলতে থাকা প্রদীপসম। আগে যারা তাদের দেখে তেলের পাহাড় ঢেলে দিতেন, রিটায়ারমেন্টের পর তারাই এখন আর তাদের চিনতে পারছেন না। ক্ষুদ্র-ক্ষমতাধর এই গোষ্টির এক কথা – “তোমার হকের টাকায় আমার ভাগ কোথায়? তোমার টাকা তুমি একা কেন ভোগ করবে? আমাদের কি হিংসে লাগে না?”

যাইহোক, লেখাটি বেশী সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। মুড হালকা করা প্রয়োজন। 

এই মাসে বিশেষ কি খাওয়া-দাওয়া করলাম তাই নিয়ে আলোচনা করে আজকের লেখা শেষ করছি। 

আমার বেশির ভাগ পাঠক যেহেতু কানাডাতে বসবাস করেন, নীচের রিভিউ আপনাদের কাজে লাগতে পারে।


KS2 The halal steak & Grill

এবার ঈদে বন্ধুরা মিলে ভালো কোথাও খাওয়ার কথা চিন্তা করছিলাম। 

অনেকদিন হয় বিফ স্টেক খাওয়া হয় না। চাইছিলাম এমন একটা রেস্টরেন্ট যেখানে হালাল স্টেক পাওয়া যায় আবার স্কারবোরো এলাকার আশেপাশে। 

গুগল ঘাটতে ঘাটতে খোঁজ পাওয়া গেল KS2 The halal steak & Grill-এর। রেটিং ৪.৮ / ৫।

সাবধানতা ঈমানের অঙ্গ। তাই আমরা আগে থেকেই টেবিল বুক করে রেখেছিলাম। 

যথা সময়ে রেস্তরায় গিয়ে দেখা গেল এক এলাহি কান্ড। 

বাইরে গাড়ি আর ভেতরে মানুষ গিজগিজ করছে! 

টেবিল আগে থেকে রিজার্ভেজন না দিলে মহা কেলেঙ্কারি হয়ে যেত নিশ্চিত। 

যাইহোক, এবার আসি মূল আলোচনায় – খাবার। 

KS2-এর দাম একটু চড়া হলেও খাওয়ার পরিমাণ ছিল ভালো। 

সাধারণত টরোন্টো’র বাংলাদেশি রেস্তরাগুলিতে খাওয়ার পরিমানের সাথে দামের কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না। কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার দিলে বিষয়টা সব থেকে বাজেভাবে ধরা পড়ে। হয় তারা মাংস বেশী দিয়ে বিরানি কম দেয়, বা বিরানি বেশি দিয়ে মাংস কম দেয়। একবার তো এক রেস্তোরা আমাকে ১৫ ডলারের মুগলাই পরোটা বিক্রি করে ফেলেছিল। দোষ অবশ্য আমারই। আমি দাম না দেখেই অর্ডার দিয়ে দিয়েছিলাম। একটা ডিম আর তার সাথের পরোটার দাম যে ১৫ ডলার হতে পারে সে ব্যাপারে আমার কোন ধারণাই ছিলো না। ভেবেছিলাম বড় জোর ৫-৬ ডলার হবে।  কিসের ভিত্তিতে ১৫ ডলার নেয়া হচ্ছে তা এক আল্লাহ-ই ভালো জানেন। 

যাইহোক, KS2-তে খাওয়া অর্ডার দেয়ার আগে আমাদের রেস্তোরার পক্ষ থেকে কমপ্লিমেন্টারি রুটি দেয়া হয়েছিল। সাধারণত ইটালিয়ান রেস্তোরাগুলোতে এই জাতীয় ট্রেডিশান দেখা যায়। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। রুটি চিবুতে চিবুতে মেনু দেখব। খাওয়া অর্ডার দেব। মজাই আলাদা।  ব্যাপারটা উল্লেখ করলাম কারণ আমরা খাওয়া শেষ করে চলে আসার আগে রেস্তরার একজন মালিকের সাথে আমাদের কুশলবিনিময় হয় (শাকিব ভাই), এবং তার কাছ থেকে জানতে পারি এই রেস্তোরা বাংলাদেশি মালিকানাধিন! তারা বেশ কয়জন বন্ধু মিলে এই রেস্তোরা পরিচালনা করেন। সাধারণত বাঙালি রেস্তোরাগুলো বসে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত না। একে এসি না থাকায় গরম থাকে। তার ওপর মশা মাছি। বাথ্রুমে যাবার দরকার পড়লে – “এই সেরেছে!”। বাংলাদেশি অধ্যুষিত ডেনফোর্ত এলাকার এক চালু রেস্তোরার বাথ্রুমে গেলে দরজা কিভাবে খোলে সেটা খুজে পাওয়াই একটা চ্যালেঞ্জ। এমন চিপার মধ্যে যে বাথ্রুম থাকতে পারে – সেটা কল্পনাতীত! সে তুলনায়  KS2 ব্যাতিক্রম বৈ-কি! বাথ্রুম থেকে শুরু করে বসার জায়গা সব ফকফকা ক্লিন!

এবার আসি মূল বিষয়ে,  KS2-তে আমি নিউইয়র্ক বিফ স্টেক অর্ডার দিয়েছিলাম (গরুর কোমরের পাশ থেকে কাটা মাংস) সাথে সাইড ডিশ হিসেবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। পাশে যে ছবিটা দেখছেন, সেটা আমার বান্ধবী ফারাহ অর্ডার দিয়েছিলেন। সাথে ছিল ম্যাসড পটেটো। আমার কাছে মনে হয়েছে ফ্রাইজের থেকে ম্যাসড পটেটো বেশী মজা ছিল।

বিফ স্টেক আমি সাধারণত ওয়েল ডান খাই। অনেক রেস্তোরা ওয়েল ডান করতে গিয়ে বিফ বেশি  পুড়িয়ে রাবারি করে ফেলে। তখন সেই মাংস গিলতে সমস্যা হয়। রাবার টাইপ গরুর মাংস খেতে গিয়ে গলায় আটকে ফেলে মরে যাবার ঘটনা ইতিহাসে ঘটেছে! তাই হাসার কোন কারণ নেই! কিন্তু KS2-এর ওয়েল ডান স্টেকে এই জাতীয় কোন সমস্যা আমি টের পাইনি। স্টেক বেশ জুসি ছিল। খেয়ে আনন্দ পেয়েছি।

আপনারা যারা বিফ পছন্দ করেন না, তাদের জন্য আছে চিকেন স্টেক। সেটা আমার গিন্নির পাতের থেকে আমিও খানিকটা চেখে দেখেছি। তেমন খারাপ লাগেনি। তবে বিফের মত অত মজাও ছিলো না। আমার গিন্নির রান্নার হাত বেশ ভালো। আমার গিন্নি এর থেকে অনেক ভালো চিকেন স্টেক বাসাতেই বানাতে পারে (Sorry KS2 team)!

পরিশেষে বলতে চাই, কেও যদি সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ভালো কোথাও খেতে যেতে চান, তাহলে KS2 The halal steak & Grill is highly recommended. 

আর গিয়ে যদি খাওয়া ভালো লাগে এই পোষ্টের নীচে আমাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না!

Summary: 

Name: KS2 The halal steak & Grill
Halal: Yes
Price range: High ($40 – $80 / person)
Food quality: Excellent
Service: Excellent
Parking: Sometimes get busy, but there are a lot of parking spots available for free.
Reservation required: Not required, but highly recommended.
Kids friendly: yes, you can request them for high chairs.
Will I visit them again: Absolutely, but only for special occasions.
Address: https://maps.app.goo.gl/xe2F1YX4qssuy4W9A 


Thairoomgrand York Mills

আপনারা যারা ভালো থাই রেস্তোরা ট্রাই করতে চান, তাদের জন্য Thairoomgrand York Mills is highly recommended. বিশেষ করে তাদের পাইনাপেল ফ্রাইড রাইস। 

আমার এক বন্ধুর জন্মদিনে সেখানে খেতে গিয়েছিলাম।

প্রথমেই বলে রাখি, আমার কাছে এই রেস্তোরার খাওয়ার মান এবং সার্ভিস নিয়ে কোন সংশয় বা অভিযোগ নেই। তবে দামের তুলনায় খাবারের পরিমাণ খুবই খুবই অল্প মনে হয়েছে। বলে রাখলাম কারণ পেটুক বা কিপ্টুস কোন বন্ধুকে এখানে খেতে নিয়ে গেলে কপালে আসলেই শনি আছে। হয় তারা বিল দেখে আপনাকে রেখে পালাবে, নাহলে বিরক্ত হয়ে বন্ধুত্ব সেখানেই শেষ! আমরা জন্মদিন পালন করতে ৬-৭ জন মিলে গেছি বলে রক্ষা। বিল অনেকে শেয়ার করায় গায়ে তেমন লাগেনি। বন্ধুত্ব সবার এখনও অটুট।

যাইহোক, আমরা যখন রেস্তোরায় গিয়ে পৌছাই ঘড়ির কাটায় তখন ৬ঃ৩০ বাজে। ছুটির দিন হওয়া স্বত্তেও রেস্তোরায় খুব একটা মানুষের উৎপাত দেখা গেল না। সবকিছু শান্ত, পরিশিলিত, মার্জিত।

শুরুতেই আমাদের দেয়া হলো কমপ্লিমেন্টারি কাজু বাদাম। কাজু বাদাম চিবুতে চিবুতে মেনু দেখব। খাওয়া অর্ডার দেব। মজাই আলাদা। 

মেনু দেখে যা বোঝা গেল তা হল ঝোল-সহ (কারি) মাংসের সাথে এখানে স্টিম রাইস ফ্রী! আমরা তাই ভাতের ওপর চাপ কমাতে একটি কারি ডিশ অর্ডার দিলাম। সেই সাথে পাইনাপল ফ্রাইড রাইস এবং আরো কিছু মাংসের আইটেম।

প্রতিটা আইটেমই আমার কাছে ভাল লেগেছিল। এমন কোন আইটেম পাইনি যেটা খেয়ে মনে হয়েছে – “ইয়াক থু! এগুলা মানুষ খায়!”

সেই সাথে ওয়েটারদের সার্ভিস ও ব্যাবহারও ছিল খুবই ভালো। আমাদের গ্রুপ ছবি তুলে দেয়া, বাইরের খাওয়া আনতে দেয়া (জন্মদিনের কেক), কেক লুকিয়ে রাখা এবং সময় মত “হ্যাপি বার্থ ডে”- গান গেতে গেতে তা নিয়ে হাজির হওয়া – সব কিছুতেই ছিল প্রফেশনালিজমের ছাপ।

খারাপের মাঝে শুধু এতটুকুই যে ৬ জনের বেশী সেখানে খেতে গেলে তারা অটোমেটিকালি ১৭% টিপস বিলের সাথে জুড়ে দেয়। আমি নিজে খুশি হয়ে টিপস দিলে এক কথা। কিন্তু এভাবে ধরে বেধে টিপস নেয়ার ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর। 

তবে আমার ধারণা এই একটি ব্যাপার বাদে তাদের আর সব কিছুই আপনাদের কাছে ভাল লাগবে।

Summary: 

Name: Thairoomgrand York Mills
Halal: Yes
Price range: Very High compare to quantity ($ 50 – $ 120 / per person)
Food quality: Excellent
Service: Excellent
Parking: Plenty of parking.
Reservation required: Not required. It’s often empty. We’ve dined here two times and never saw it over-crowded.
Kids friendly: yes, you can request them for high chairs.
Will I visit them again: Maybe. Only on special occasions.
Address:  https://maps.app.goo.gl/1xWDXQKVrNfoaQgc8 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *