স্যার ভুল নম্বর দিয়েছেন!

অষ্টম শ্রেণী।।

হাফ ইয়ার্লির অংক পরীক্ষার খাতা ক্লাসে দেখানো হচ্ছে।  

যেই খাতা আনতে যাচ্ছে, আলি আসগার স্যার তাঁর দিকেই বিরক্ত হয়ে তাকাচ্ছেন। 

খাতার মার্ক, রোল নম্বরের সাথে সাথে নিম্নমূখী। 

এমনই এক সময় জনৈক ছাত্রকে দেখা গেল স্যারের কাছে কাচুমাচু হয়ে খাতা নিয়ে এগিয়ে যেতে। 

ছাত্রঃ স্যার মুম মুম ম।

স্যারঃ কি হইছে?

ছাত্রঃ স্যার, মুম মম মমম

স্যারঃ ম ম করতেছিস কেন? জোরে বল!

ছাত্রঃ স্যার, আপনে একটা অংক ভুল করে জিরু দিয়েছেন। উত্তর ঠিক আছে। 

ছাত্রের দাবি শুনে স্যার খানিকটা নরম হলেন। কি লজ্জা তিনি একজনকে ভুল করে শূন্য দিয়েছেন। এমন ভুল সাধারণত তাঁর হয়না। তবে বয়স হয়েছে। ভুল হতেও পারে।   

স্যার আগ্রহ নিয়ে ছেলেটির হাত থেকে খাতা নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলেন –  কৈ দেখি। কত নাম্বার অংক?

ছাত্রঃ স্যার, পাটিগণিত। ৫ নাম্বারটা স্যার। উত্তর ঠিক আছে। 

দুই মূহুর্ত পরের কথা। 

খাতা উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে স্যারের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল, এবং এক পর্যায়ে তাঁকে দেখা গেল জনৈক ছাত্রকে কুনুই দিয়ে ঘা মারতে। 

ছাত্র বিচলিত হয়ে “কি হয়েছে, স্যার” – জিজ্ঞেস করার পর জানা গেল আসল কাহিনী। 

বইয়ের এক অংক হুবুহু এলেও, স্যাররা রসিকতা করে জুতার জায়গার কাপড়ের হিসেব বের করতে বলেছিলেন। 

জনৈক ছাত্র কাপড় ধরে অংক কষলেও উত্তরে গিয়ে লিখেছিল ১২ টি জুতা। 

কাপড়ের বদলে উত্তরে জুতা লেখায় স্যার তাঁকে শূন্য দিয়েছিলেন। 

বিদ্রঃ সপ্তম – অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন অবস্থায় ‘পাটিগণিত’ মুখস্ত না করে বুঝে পড়েছে – এমন পাব্লিক খুঁজে পাওয়া কঠিন বৈ-কি! খারাপ ছাত্র হওয়াতে ‘বুঝে পড়ার’ কালচার থেকে আমরা ছিলাম যোজন-যোজন দূরে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *